তারা দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ দ্রুত নির্ণয়ের লক্ষ্যে সতর্ক থাকা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে ও নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ে দ্রুত রোডম্যাপ প্রস্তুত করে সেই মোতাবেক পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছে।
কমিটির চেয়ারপারসন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লার সভাপতিত্বে রবিবার অনুষ্ঠিত ২০তম অনলাইন সভায় এ পরামর্শ দেয়া হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সভায় জাতীয় পরামশর্ক কমিটির সদস্যরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলমের সাথে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনায় উল্লেখ করা হয়, কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে চ্যালেঞ্জ থাকলেও বর্তমানে পরীক্ষার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং হাসপাতালের সেবার পরিধি ও মান উন্নয়ন করা হয়েছে। তবে যেসব দিকে এখনও ঘাটতি রয়েছে সেগুলো পূরণ করে পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে হবে।
জাতীয় কমিটির সদস্যরা জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশে সংক্রমণের হার নিম্নমুখী হলেও এ হার এখনও স্বস্তিকর মাত্রায় পৌঁছায়নি।
কোভিড-১৯ চিকিৎসায় এক্স-রে ও রক্তের কিছু পরীক্ষার ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে কমিটি জানায়, শহরের হাসপাতালগুলোতে এ ব্যবস্থা থাকলেও জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে তা বৃদ্ধি করা এবং দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ দ্রুত নির্ণয়য়ের লক্ষ্যে বর্ধিত হারে টেস্ট করা প্রয়োজন। করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে বলেও জানায় কমিটি।
সভায় কোভিড ভ্যাকসিন বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে জাতীয় পরামর্শক কমিটির দেয়া পরামর্শ বাস্তবায়ন করার জন্য সুপারিশ করা হয়।
পরামর্শক কমিটির মতে, করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদনে সারা বিশ্ব সক্রিয় হলেও কার্যকর ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা সময় সাপেক্ষ। জীবিকার স্বার্থে লকডাউন জারি রাখা সম্ভপর না হওয়ায় জনসাধারণকে আরও সচেতন এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে আরও সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার করার তাগিদ দেয়া হয় সভায়।
কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিতে স্বল্প পরিসরে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসন্ন দুর্গাপূজা উদযাপন করার পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় কারিগরি কমিটি।
সভায় বলা হয়, বিভিন্ন দেশ থেকে যাত্রীরা দেশে আসছেন। এ বিষয়ে ভ্রমণ সংক্রান্ত পরামর্শ বা নিয়ম জারি করা এবং বিদেশ থেকে আগতদের স্ক্রিনিং, কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
করোনা আক্রান্তদের প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি, এ বিষয়ে করোনাট্রেসার অ্যাপ ব্যবহার করা যেতে পারে বলে মত দেন কমিটির সদস্যরা।